ইলেকট্রনিক সিগারেট

Electronic Cigarette

ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট বা পারসোনাল ভ্যাপোরাইজার হচ্ছে প্রচলিত সিগারেটের একটি আধুনিক বিকল্প। এতে তামাক থাকে না। এগুলো সাধারণত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দ্বারা চালিত হয় এবং একধরণের জলীয় বাষ্প তৈরী করে। এ প্রযুক্তিতে ব্যাটারি অন করার পর এটি একটি হিটিং কয়েলকে উত্তপ্ত করে যাকে এটোমাইজার বলা হয়। এর ফলে ধোঁয়া তৈরি হয়। এটি মস্তিষ্কে ধূমপানের মতো অনুভূতির সৃষ্টি করে। প্রচলিত সিগারেটের মতই এ বাষ্প ধুমপায়ীদের দেয় সিগারেটের তৃপ্তি।

‘স্বাস্থ্যকর’ ফ্লেভার দেয়া ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেটও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। নতুন এক গবেষণায় থেকে জানা গেছে, ই-সিগারেটের কেমিকেল দেয়া উৎপন্ন ধোঁয়া উচ্চতর ক্ষতিকর মাত্রার ফরমালডিহাইডের মতো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের জন্ম দিতে পারে।

সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে ইদানীং সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরাও মানুষকে এই বস্তুটি ব্যবহার করা থেকে সতর্ক করছেন বারবার।

Electronic Cigarette

নেভাডা’র ডেজার্ট রিচার্স ইন্সটিটিউটের এক গবেষক অধ্যাপক আন্দ্রে খাইলস্তভ জানান, ৫টি আলাদা আলাদা ফ্লেভার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গেছে এসব ফ্লেভার দেয়া ই-সিগারেটের প্রতি টানে মারাত্মক মাত্রার আলডেহাইডস উৎপন্ন হয়। এতে ক্যান্সারের ঝুঁকির মাত্রা দীর্ঘ দিন ধরে স্বাভাবিক ধূমপানের চেয়ে ৫-১৫ গুন বেশী থাকে।