বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে আপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমণ পিপাসুদের। প্রকৃতির সেই অপরুপ সৌন্দর্যে সাড়া দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভীড় জমায় এই টাঙ্গাইলের বাসুলিয়ায়।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়া। স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় একটি নাম। মূলত ঢাকার আশুলিয়ার নামের সাথে মিল রেখেই জায়গাটির নাম রাখা হয়েছে বাসুলিয়া। সৌন্দর্য পিপাসুরা ভরা বর্ষায় চাপড়া বিলের সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পান ঢাকার আশুলিয়ার। বাসুলিয়ার পূর্বনাম চাপড়া বিল। টাঙ্গাইল জেলা শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার ও বাসইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পূর্বে বাসাইল-সখিপুর সড়ক ঘেষেই বাসুলিয়ার অবস্থান।
প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা গাড়ি নিয়ে এখানে আসেন। তারপর নৌকা করে সারাদিন মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ান বিশাল এই বিলে। পর্যটকদের বেড়ানোর জন্য বিভিন্ন রঙে সাজানো প্রায় শতাধিক নৌকা ঘাটে বাঁধা থাকে। বড় বড় নৌকাতে রয়েছে স্যালো ইঞ্জিন। পর্যটকরা বিনোদনের জন্য সাথে নিয়ে আসেন মাইক ও বাদ্যযন্ত্র। সারাদিন নাচে গানে মুখরিত থাকে এই বিলটি। মূলত বর্ষায় কয়েক কিলোমিটার বিস্তৃত বিশাল জলরাশি ও গ্রাম বাংলার অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
এই বিলে আছে পৌরাণিক কাহিনী সমৃদ্ধ একটি হিজল গাছ। যাবার সময় হাতের ডান দিকে বিলের মাঝখানে এক বিশাল হিজল গাছ। গাছটির জন্ম কিন্তু এখানে নয়। বহুকাল ধরেই রহস্যে ঘেরা এই গাছ। স্থানীয় লোক মুখে জানা যায় সেই প্রাচীন যুগে গাছটি এসেছিল ‘আসাম রাজ্য’ থেকে। বিলের পানি যতই বাড়ুক, গাছের ডাল পালা ভাসতেই থাকে। ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা গাছে পূজা দেয়। ভরা বর্ষায় এখনো মানুষ দেখতে পায় চাপড়া বিলের হিজল গাছ জলে ভাসছে।