ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম নারীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ওয়ার্ল্ড মুসলিমাহ অ্যাওয়ার্ড’। এবারের প্রতিযোগিতায় সেরা মুসলিমার (মুসলিম সুন্দরী) মুকুট জিতেছেন তিউনিসিয়ার তরুণী ফাতমা বেন গুয়েফ্রাচ।
সর্বমোট ১৮ জন ফাইনালিস্টের মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে জয়ের মুকুট পরিধান করেন ২৫ বছর বয়সী এই তরুণী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
পুরস্কার হিসেবে তিনি অর্জন করেন একটি সোনার ঘড়ি, সোনার ডিনার সেট ও কাবাঘরের একটি ক্ষুদ্র প্রতিকৃতি। প্রতিজোগিতায় বিজয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত ফাতমা বলেন, ‘আল্লাহর সহায়তায় আমি এতদূর এসেছি। আমার চাওয়া হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং সিরিয়ার মানুষের মুক্তি।’
১৮ জন চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশি তরুণী তারান্নুমও ছিলেন। এ প্রতিযোগিতা উম্মুক্ত ছিল ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের জন্য। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিযোগীদের সবার মাথায় ছিল স্কার্ফ। বিচার্য বিষয় সমূহের মধ্যে ছিল চেহারা বা সৌষ্ঠব, নির্ভুলভাবে কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ইসলাম ও আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে জানাশোনার পরিধি।
আয়োজকদের একজন জামেয়াহ শেরিফ বলেন, “আমরা দেখতে চেয়েছিলাম তারা ইসলামি জীবনাচার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। জানতে চেয়েছি তারা কী খায়, কী পরে এবং কীভাবে জীবন কাটায়।”
প্রতিযোগিতাটি মূলত পশ্চিমাদের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় নারীদের বিকিনি পরিয়ে উপস্থাপন করার প্রতিবাদ। প্রচলিত বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে প্রতিযোগিতাটি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ প্রতিযোগী দিনা তরকিয়া বলেন, ‘আশা করি, এই প্রতিযোগিতায় পশ্চিমা বিশ্বে সুন্দরী প্রতিযোগিতার চিরাচরিত ধারণা যেমন পাল্টাবে, তেমনি ইসলাম সম্পর্কেও তাদের কুসংস্কার দূর হবে।’