গিনেস বুকে নাম লিখাতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ

গিনেস বুকে নাম লিখাতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ

বিশ্বের মসজিদ স্থাপত্যের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড এবার ভেঙে দেবে টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ মসজিদ। ১৫ বিঘা জমির উপর অবস্থিত মসজিদটির নির্মাণ কাজ শতকরা আশি ভাগ শেষ হয়েছে, শিগগিরই শুরু হবে মসজিদের কারুকাজ। নির্মাণাধীন এই মসজিদে থাকবে বিশ্বের বেশি সংখ্যক গম্বুজ ও ৪৫১ ফুট উঁচু একটি মিনার। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি সালাত আদায় করতে পারবেন।

মসজিদের দেয়ালের টাইলসে অংকিত থাকবে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরিফ। যে কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে অংকিত কোরআন শরিফ পড়তে পারবেন। মসজিদের প্রধান দরজা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে ৫০ মণ পিতল। আজান দেওয়ার জন্য মসজিদের সবচেয়ে উঁচু মিনারে বানানো হবে আলাদা রুম।

গিনেস বুকে নাম লিখাতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ (2)
২০১ গম্বুজ মসজিদ

বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে।টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে অবস্থিত ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর পাশে অবস্থিত ৪৫১ ফুট, ১৩৮ মিটার ৫৬ তলা উঁচু বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মিনারটি হবে বিশ্বের সবচে’ উঁচু ইটের তৈরি মিনার! এই মিনারে ৫০ তলা পর্যন্ত থাকবে লিফটের সুবিধা।

মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে আলাদা পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে থাকবে দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূণর্বাসনের ব্যবস্থা।

পশ্চিমে ঝিনাই নদী থেকে মসজিদ পর্যন্ত সিঁড়ি করা হবে এবং নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। চারপাশে হবে দেশি-বিদেশি ফুলের বাগান।

গিনেস বুকে নাম লিখাতে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের ২০১ গম্বুজ মসজিদ (3)
২০১ গম্বুজ মসজিদের নকশা

বলা যায়, সব মিলিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস বুকে নাম লেখাতে চলছে ২০১ গম্বুজ মসজিদ। নির্মাতাদের প্রত্যাশা, এ স্থাপনাটি বিশ্বের দরবারে মসজিদের দেশ বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরবে এবং এটি পরিদর্শন করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটবে।

২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। তিনি জানান, আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।