নারী পরিচালক নয়, পরিচালকই বলতে হবে তাঁকে। এ ধরনের বৈষম্য মোটেও পছন্দ না বলিউডের এই সফল পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের।
ফারাহ খানের ভাষ্য মতে, চলচ্চিত্রশিল্পে নারী বা পুরুষ এটি আলাদা করে উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই। মেধাটাই যথেষ্ট তাঁর পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। ফারাহ খান প্রথম পরিচালকের আসনে বসেন ২০১৪ সালে। তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ম্যায় হু না’ তে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খানের মতো তারকারাও। এরপর তিনি তৈরি করেছেন ‘ওম শান্তি ওম’, ‘তিস মার খান’, ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিগুলো।
ফারাহ বলেন, ‘আমি জানি না কেন “নারী চলচ্চিত্রকার” বলা হয়। আমরা নারী-পুরুষ সবাই তো পরিচালক! “ম্যায় হু না” ছবির পর থেকে সবাই আমাকে বলে, ইন্ডাস্ট্রিতে নারী নির্মাতার সংখ্যার বাড়ছে। কিন্ত আমি মনে করি চলচ্চিত্র নির্মাণের এই ক্ষেত্রটায় নারী কিংবা পুরুষ বলে আলাদা কোনো বিষয় নেই। আমরা সবাই নির্মাতা।’
বলিউডে ফারাহ খান ছাড়াও জোয়া আখতার, গৌরী শিন্ডে, আনু মেনন, কিরণ রাও ও রিমা কাগতির মতো পরিচালকেরা এখন নিয়মিত কাজ করছেন।
গতানুগতিক বাণিজ্যিক ছবি হোক, কিংবা ভিন্নধারার ছবি—সবখানেই নারীরা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে নারী হিসেবে এসব নির্মাতা কি কোনো দিক থেকে বেশি সুযোগ পাচ্ছেন? এই প্রশ্নটি তুলেছেন ফারাহ।