বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থীর তৈরি দেশের প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ বা ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণের পর পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করছে।
‘ব্র্যাক অন্বেষা’ নামে স্যাটেলাইটটির নকশা, উপকরণ সংগ্রহ ও তা বানানোর সব কাজই করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মনোয়ার।
ন্যানো স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে সেটি সময় নেবে ৯০ মিনিটের মতো।
১০ সেন্টিমিটার কিউব আকৃতির ও ১ কেজি ওজনের এ ন্যানো স্যাটেলাইট মহাকাশ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের জন্য ছবি পাঠাবে, যা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহার করবেন।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এ উপলক্ষে গতকাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। এতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রদর্শিত হয়।
গেলো রোববার বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ক্যানেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এর আগে গেলো বছরের জুনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষার্থী অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় ‘ব্র্যাক অন্বেষা’।
স্যাটেলাইটটির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের ৪ নং ভবনের ছাদে তৈরি গ্রাউন্ড স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ২৫ মে এটি উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ফজলে হাসান আবেদ।