বাংলাদেশে বাণিজ্যিক অফিস খুলতে আগ্রহী ফেসবুক। অবশ্য তার আগে এ দেশে তাদের ব্যবসায়িক সম্ভাব্যতা এবং বাজার যাচাই-বাছাই করবে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম রবিবার সচিবালয়ে তার দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরেই তিনি সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেন। তিনি জানান, এই সফরে তিনি ফেসবুক,গুগল-সহ বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠান কার্যালয় ঘুরে দেখেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।
তারানা হালিম জানান,এখন তারা এ দেশে তাদের বিজনেস ভলিউম, বাজার সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। এসব কাজে সন্তুষ্ট হলে ফেসবুক বাংলাদেশে অফিস খুলতে পারে। এ ব্যাপারে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
বাংলাদেশে ফেসবুকের অ্যাডমিন প্যানেল স্থাপন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইদানিং সময়ে তাদের অ্যাডমিন কেবল দৈনন্দিন কার্যক্রম ও প্রচারণার কাজ করে থাকে। বাংলাদেশ যে উদ্দেশ্যে অ্যাডমিন প্যানেল বসাতে চায়, সে বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে ফেসবুক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অ্যাডমিন প্যানেল বলতে বোঝানো হয়েছে ‘নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন প্যানেল’। সেটা অবশ্য ফেসবুক বাংলাদেশে বসাতে আগ্রহী নয় এবং এটা পলিসিগত কারণে সম্ভবও নয় বলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার আইন প্রয়োগ বিশেষজ্ঞ বিক্রম লাং বলেছেন, বাংলাদেশে ফেসবুকের কার্যালয় করার কথা বলা হলেও তা কনটেন্ট ফিল্টারিং বা তথ্য প্রদানে সক্ষম হবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ফেসবুকের প্রকিয়া অনুসরণ করেই উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কার্যালয়ের কোনও ভূমিকা থাকে না। তবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কার্যালয় স্থাপনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব ফেসবুকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।