মঙ্গলগ্রহে নাসার রোবটযান কিউরিসিটি রোভার-এর মাধ্যমে সেখানে ট্রিডিমিট নামক একটি খনিজের সন্ধান পেয়েছেন।যা বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে।কারণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা মতে, এ ধরনের খনিজ কেবলমাত্র অত্যাধিক তাপমাত্রায় সৃষ্টি হতে পারে।যেমন আগ্নেয়গিরির কারণে।এই ট্রিডিমিট আবিষ্কারের ফলে মঙ্গল গ্রহের ইতিহাস নতুন করে লিখার সময় এসেছে।কারণ পূর্বের ধারণার চেয়েও গ্রহটি অনেক বেশি উত্তপ্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে,এমনকি আগ্নেয়গিরির বাসভবনও হয়ে থাকতে পারে।কিউরিসিটি রোভারের মধ্যে একটি বিশেষ এক্সরে উপাদানের মাধ্যমে খনিজের স্ফটিক গঠন চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণার নেতৃত্বদানকারী ও নাসার বিজ্ঞানী রিচার্ড মরিস বলেন,‘এটি হচ্ছে সর্বশেষ খনিজ যা আমরা প্রত্যশা করেছি।এটি এখন পরীক্ষা করা হলে মঙ্গলের উৎপত্তির বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন তথ্যের ইঙ্গিত দেবে।এতে করে আমাদের অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে হবে।কিন্ত আমরা যতদূর জানি, মঙ্গলে পানি বা পৃষ্ঠ তলদেশে লুকানো গতিশীল কোনো প্লেট নেই এবং তার গড় তাপমাত্রা প্রায় হিমশিতল।তাহলে এই ট্রিডিমিট কোথা থেকে এসেছে?’
এ তথ্যের সমাধান পেতে বিজ্ঞানীদের এখন এর কারণ সন্ধান করতে হবে।এজন্য তাদের মঙ্গলের উৎপত্তি সংক্রান্ত ধারণা বদলে ফেলতে হবে কিংবা ট্রিডিমিটের গঠন সংক্রান্ত ধারণা পরিবর্তন করতে হবে।নিম্ন তাপমাত্রায় এর গঠন অনুসন্ধানের জন্য জনসন মহাশূন্য কেন্দ্রের অনেক গবেষক কাজ করছে বলে জানান রিচার্ড মরিস।পরবর্তী ধাপে মরিস বলেছেন, ট্রিডিমিটের উপস্থিতি প্রমানের জন্য বিজ্ঞানীদের গবেষণা চালাতে এবং আরো বিস্তারিতভাবে স্থলজ সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করতে হবে।তারা যেটি খুঁজে পাবে তা আমাদের মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বোঝার আগ্রহ জাগ্রত করবে।লাল গ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গল গ্রহ একটি ভিন্ন জায়গা।এখানকার প্রসেসও আলাদা।এখানে অদ্ভূত কিছু আছে যা আমরা এখনো চিনতে পারিনি বলে জানান মরিস।