হেঁচকি থামানোর উপায়

The way to reduce hichki

হেঁচকি কোনো অসুখ নয়। তবু এই হেঁচকির কারণেই সমস্যায় পড়তে হয় আমাদেরকে। অনেকসময় হেঁচকি একবার উঠলে আর থামতে চায় না। তাতে করে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। চলুন জেনে নিই, কেন এই হেঁচকি ওঠে এবং হেঁচকি থামানোর উপায়

হেঁচকি কেন হয় তা এখনো খুব স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে। দ্রুত খেতে চেষ্টা করলে, অনেক গরম ও মসলাদার খাবার খেলে, গরম খাবারের সঙ্গে খুব ঠান্ডা পানি বা পানীয় পান করতে শুরু করলে, অনেকক্ষণ ধরে হাসলে বা কাঁদলে হেঁচকি হতে পারে।

প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে, আমাদের বুক আর পেটের মাঝখানে মাংসপেশি দিয়ে তৈরি একটি পার্টিশন আছে যা একটি নির্দিষ্ট ছন্দে সংকোচিত ও প্রসারিত হয়, একে ডায়াফ্রাম বলে। যখন কোনো কারণে এই স্বাভাবিক ছন্দ হরিয়ে ডায়াফ্রাম হঠাৎ বেশি সংকোচিত-প্রসারিত হয়, তখনই হেঁচকি উঠে।

সাধারণ কারণে হেঁচকি হলে তা একটু পর এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে শারীরিক সমস্যা ও রোগে অনেক সময় বারবার বা অতিরিক্ত হেঁচকি উঠতে পারে। পর্যাপ্ত পানি খেলেই হেঁচকি কমে যায়। যদি পানি সাথে না থাকে তবে কিছুক্ষণ শ্বাস বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া ঠাণ্ডা পানি বা বরফ কুচি গিললে অথবা শুকনো খাবার চিবলে কার্বন ডাই অক্সাইডের চাপ বেড়ে গিয়ে ডায়াফ্রামকে থামিয়ে দেয়। তবে হেঁচকি অসহনীয় ও অনবরত হতে থাকলে ওষুধ বা ইনজেকশনের প্রয়োজন হতে পারে।

কাশি ঢেকুর বা হাঁচি যে কোন একটি দেওয়া গেলে হেঁচকি ওঠা কমে যাবে। ধারণা করা হয় এতে বুক ও পেটের অংশ ভাগ করার মাঝে যে পর্দা থাকে তা সংকুচিত হয়ে হেঁচকি ওঠা রোধ করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, একটি কাগজের ব্যাগে পুরো মাথা না ঢুকিয়ে শুধু মুখ ঢুকিয়ে শ্বাস নিলেও হেঁচকি উঠা কমে যায়। আবার অনেক সময় কোল্ডড্রিংক্স পান করে বড় ঢেকুর তুললে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়।