সদ্য প্রয়াত বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের কুলখানি আজ (শুক্রবার) বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ কালপুরুষ। অর্থাৎ আজ নায়করাজের কুলখানি
দু’দফা জানাজা শেষে গত বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাযা শেষে নায়ক্রাজের ছোট ছেলে সম্রাট জানান শুক্রবার বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে মরহুমের কুলখানি ও আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নায়করাজের বড় ছেলে বাপ্পারাজ এবং মেজ ছেলে বাপ্পিও উপস্থিত ছিলেন।
নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। প্রথমে দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি কখনও।
নায়ক রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, দুই পয়সার আলতা, ভাইবোন ইত্যাদি।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে তিনি মোট পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বাচসাস পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ২১শে আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।