মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। সঙ্গীতশিল্পী শফিক তুহিনের করা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বর্তমানে আসিফ আসিফ আকবরকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায় আছেন। আজ বুধবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তাকে আদালতে আনা হয়। জানা গেছে, আদালতে আসিফ আকবরের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছে সিআইডি। আজ বেলা দেড়টার দিকে আসিফের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।
শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেছেন, ১ জুন রাত নয়টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
শফিক তুহিন তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে শফিক তুহিনকে শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, শফিক তুহিনকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তাঁর ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শফিক তুহিনকে হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। শফিক তুহিনের মানহানি হয়েছে।