গুগল কতৃপক্ষ তাদের মার্চেন্ট একাউন্টে বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে। এতদিন বাংলাদেশ থেকে গুগল প্লে স্টোর ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশি অ্যাপ ডেভেলপারদের অ্যাপ বিক্রির সুবিধা ছিলো না। ৭ নভেম্বর রাতে গুগলের সাপোর্ট সেন্টার ‘লোকেশনস ফর ডেভেলপার অ্যান্ড মার্চেন্ট রেজিস্ট্রেশন’ বিভাগে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপাররা বাংলাদেশ থেকে গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপ বিক্রি করতে পারবে।
টেকজায়ান্টের উন্মুক্তবাজারে দেশের অ্যাপ বিক্রির সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলকের উদ্ধৃতি দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে সিনিয়র কাউন্সিলর উইলসন এল হোয়াইটের নেতৃত্বে গুগল কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা ছিলো, বাংলাদেশের ডেভেলপাররা যেন মার্চেন্ট একাউন্ট করতে পারে, যা দিয়ে ইন-এপ্লিকেশন পেমেন্ট ও পেইড-এপ্লিকেশন পাবলিশ করা সম্ভব।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়: গত মাসে গুগলের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেও পুনরায় বাংলাদেশের ডেভেলপারদের পক্ষ থেকে তাদের এই দাবি উত্থাপন করা হয়। গুগলের মার্চেন্ট একাউন্টের তালিকায় গুগল বাংলাদেশকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে গুগল তাদের আশ্বাসের বাস্তবায়ন করলো।
গুগল মার্চেন্টের এই সুবিধা দেশের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে এবং মোবাইল এপ্লিকেশন ও গেইম ডেভেলপমেন্টকে আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের দেশীয় গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের বৈশ্বিক পদচারণা বাড়বে। এভাবেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে ডিজিটাল ইকোনমির পথ প্রশস্ত করতে সক্ষম হবো।
নতুন এ সুবিধার ফলে গুগল প্লে স্টোরে বাংলাদেশ থেকেই করা যাবে মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট। দেশ থেকেই অ্যাপ বিক্রি করতে পারবেন ডেভেলপাররা। আগে শুধু ফ্রি অ্যাপ আপলোড দেয়ার সুবিধা ছিল।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এভাবেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার নেতৃত্বে ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে ডিজিটাল ইকোনমির পথ প্রশস্ত করতে সক্ষম হবো। আইসিটি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান অর্থ আয় করতে পারবো। বাসস