ঘর ধুলোমুক্ত রাখতে করণীয়

Clean house

যতই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন না কেন ধুলোবালি ঠিকই এসে জমবে আপনার ঘরে। আর তাতে নষ্ট হবে ঘরের পরিবেশ, মলিন হবে আপনার শখের আসবাব। ধুলোবালি খাবারে পড়লে আর সেই খাবার খেলে নানা অসুখও বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। তাই চলুন জেনে নিই ঘর ধুলোমুক্ত রাখতে করণীয় সম্পর্কে-

প্রয়োজনে পুরোনো কিংবা অব্যবহৃত আসবাব সরিয়ে ফেলতে হবে। আসবাবপত্র কম হলে ঘর আরও প্রশস্ত দেখাবে ও ময়লা আবর্জনা জমার আশঙ্কা কমে যাবে।

কার্পেটের ভেতর অতিরিক্ত ধুলো জমে থাকে। আর তাই ঘর ধুলোমুক্ত রাখতে প্রতিদিন অবশ্যই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করতে হবে।

নিয়মিত আলমারির ভেতরের তাকগুলো পরিষ্কার না করলে লক্ষ করবেন কাপড়ে ময়লার আবরণ অতিরিক্ত পড়ে গেছে। কাপড়কে ময়লামুক্ত রাখার আদর্শ উপায় হলো, চেইন ব্যাগের মধ্যে কাপড় রাখা। জানালায় ভারি পর্দা ব্যবহার করুন যেন বাইরে থেকে আসা ধুলো শুষে নেয়।

হালকা বাতাসে উড়ে গিয়ে ঘরে ধুলো ঢুকতে দেবে না, বরং প্রতিরোধ করবে। ঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে অবশ্যই পর্দা এবং পাটজাত দ্রব্য পরিষ্কার রাখতে হবে। মাসে দু-একবার অন্তর পরিষ্কার করা অবশ্যই জরুরি।ঘরে ঢোকার পথে ভারি ডোর ম্যাট রাখতে পারেন। এগুলো বেশি পরিমাণ ধুলো শোষণ করতে পারে।

বাইরের ধুলো ঘরে ঢোকার পথে বাধা দেয়।ধুলো পরিষ্কারের জন্য সঠিক কাপড় ব্যবহার করে জরুরি। নরম সুতি কাপড় ধুলোকে শুষে নেবে, বাতাসে উড়িয়ে দেবে না। ফলে ঘর পরিষ্কার করতে এমন কাপড় ব্যবহার করুন যা ধুলো ময়লা শুষে নেয়। তারপর কাপড়টি ধুয়ে ফেললে ধুলো চলে যাবে।

ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের দাম খুব বেশি নয়, অল্প দামেই ভালো ক্লিনার পাওয়া যায়। সপ্তাহে মাত্র ২ বার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ঘর পরিষ্কার করলে বাকি দিনগুলো থাকতে পারবেন ঝকঝকে।যাদের ডাস্ট এলার্জি আছে, তারা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ঘর থাকবে শতভাগ ধুলোমুক্ত।

রাস্তার পাশের দরজা বা জানালাটি বন্ধ রাখলে অনেকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব। কারণ, এদিক থেকেই ঘরে বেশি ধুলো প্রবেশ করে।