শুটিং-এ আহত কঙ্গনা

manikarnika

হায়দারাবাদে ‘মনিকানিকা_দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবির দৃশ্যধারণের সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। সহ-অভিনেতা নিহার পাণ্ডের সঙ্গে মুখোমুখি এক তলোয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরই মাধ্যমে এবার শুটিং-এ  আহত কঙ্গনা

সহঅভিনেতা নিহার পান্ডেয়ার সঙ্গে অসিচালনার একটিদৃশ্যে এই দুর্ঘটনায় পড়েন কঙ্গনা। নিহারের তলোয়ারের আঘাতে দুই ভ্রূ’র মাঝের অংশে কেটে যায় কঙ্গনার। চিকিৎসকেরা বলেছেন এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন তিনি।

কপালে তলোয়ার লেগে রক্তপাত শুরু হলে তাকে স্থানীয় অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় অভিনেত্রী কঙ্গনাকে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার কপালে ১৫টি সেলাই করেন। এ মুহূর্তে তাকে সপ্তাহখানেক নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে ছবির প্রযোজক কমল জৈন জানান, ডামি ছাড়াই ছবির এ দৃশ্যে শুটিং করতে চান কঙ্গনা। দৃশ্যধারণের আগে কয়েকবার মহড়াও করেন তিনি। কিন্তু চূড়ান্ত শটে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যাওয়ায় কপাল ও ভ্রুর নিচে আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। দুর্ঘটনার পরপরই হাসপাতালে নেওয়া হয় কঙ্গনাকে।

সিনেমার প্রযোজক কমল জৈন এ ব্যাপারে বলেন, “দৃশ্যটা এমন ছিল যে নিহার তাকে আক্রমণ করতে আসলে কঙ্গনা সরে যাবে। কিন্তু সময়ে কিছুটা গন্ডোগোল হয়ে যাওয়ায় নিহারের তলোয়ারের আঘাত তার কপালে লাগে। তার দুই ভ্রূ’র মাঝখানে গভীরভাবে কেটে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে যেতে আধঘন্টা সময় লেগেছিল। এই সময়টা ব্যথা এবং রক্তপাত সহ্য করে কঙ্গনা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। নিহার এই ঘটনার জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু কঙ্গনা নিজেই তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।”

এ ব্যাপারে শুটিং ইউনিটের এক সদস্য জানায়, “কঙ্গনাকে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার কপালের কাটা অংশে ১৫ টি সেলাই পড়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কঙ্গনা অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। আরেকটু হলেই তার হাড়েও আঘাত লাগতে পারতো।”

‘মণিকর্ণিকা’র গল্প ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈকে ঘিরে। এই সিনেমায় রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের যতগুলো লড়াইয়ের দৃশ্য আছে, এর প্রতিটিতে বডি ডাবল ব্যবহারের বদলে কঙ্গনা নিজেই অভিনয় করছেন। আর একারণেই অসিযুদ্ধের মতো বিপজ্জনক একটি দৃশ্যের শুটিঙে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো বলে ধারণা করছেন তার শুটিং দলের লোকজন।