সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঐশ্বরিয়ার

Aishwarya among underprivileged children

১৯৯৪ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার মঞ্চেই জয়ের পর ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন কথা দিয়েছিলেন, মানুষের জন্য কাজ করবেন, কাজ করবেন শান্তির জন্য। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার পর তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। এরপর সব সময়ই নিজেকে মানবসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন সাধ্যমতো। নিজের সেরাটা দিয়ে মানবসেবা করছেন এই বলিউড তারকা। সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২০১৪ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন’ ঐশ্বরিয়াকে বিশেষ সম্মাননা দেয়।

১ নভেম্বর এই তারকা ৪৪ বছরে পা রেখেছেন। জন্মদিনে উপহার হিসেবে তিনি ভারতের এক হাজার দুস্থ শিশুর এক বছরের খাবারের খরচ দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসকনের অন্তর্ভুক্ত অন্নমিত্র ফাউন্ডেশনের ‘মিডডে মিল’ প্রকল্পের অধীনে এ খাবারের অর্থ দেবেন তিনি। ইসকনের একজন কর্মকর্তা জানান, ওই প্রকল্পের অধীনে মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকার ৫০০ স্কুল ও মহারাষ্ট্রের দুই হাজার স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হয়। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রকল্পের আওতায় ভারতের সাতটি রাজ্যের ১২ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়।

ঐশ্বরিয়া আরও অনেক দাতব্য কাজের সঙ্গে জড়িত। ২০০৪ সালে তিনি ভারতের দুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যের লক্ষ্যে নিজের নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি অর্থ সংগ্রহ তহবিলে অবদান রেখেছিলেন। ‘আই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’র সদস্য হয়ে তিনি মরণোত্তর চক্ষুদানের ঘোষণা দেন। ভারতের উত্তর প্রদেশে সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্য একটি স্কুলে নিয়মিত অর্থ সাহায্য দেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এ রকম আরও অনেক সেবামূলক কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত।

ঐশ্বরিয়া ২০০৪ সালে ভারতের দুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যের লক্ষ্যে নিজের নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছর সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে অর্থ সংগ্রহ তহবিলে অবদান রেখেছিলেন এই গুণী অভিনেত্রী। ‘আই ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া’ সদস্য হয়ে দিয়েছেন মরণোত্তর চক্ষুদানের ঘোষণা। এভাবে মানবসেবায় একের পর এক অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনএইডস তাকে শুভেচ্ছাদূত করেছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস