একাধারে সাহিত্যিক, নির্মাতা হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। টেলিভিশন নাটক নির্মাণে যেমন বাংলাদেশে নতুন পথ দেখিয়েছিলেন। আবার সিনেমা নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর নির্মিত আগুনের পরশমনি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামলছায়া সিনেমাগুলো এখনও দর্শক হৃদয়ে আলোচিত। গল্পের জাদুকরখ্যাত এ মানুষটি আমাদের সবার প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ। আজ তার ষষ্ঠ প্রয়াণবার্ষিকী। দেখতে দেখতে হুমায়ূনবিহীন কেটে গেল ৬টি বছর। ২০১২ সালের আজকের এদিনে ক্যান্সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৯ জুলাই ২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন হুমায়ূন আহমেদ।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরেই আলোচনায় চলে আসেন হুমায়ূন আহমেদ। এরপর শঙ্খনীল কারাগার, রজনী, এপিটাফ, পাখি আমার একলা পাখি, ফেরা, নিষাদ, দারুচিনি দ্বীপ, নির্বাসন, অমানুষ, রূপালী দ্বীপ, শুভ্র, দূরে কোথাও, মন্দ্রসপ্তক, বাদশাহ নামদার, সাজঘর, বাসর, নৃপতির মতো পাঠক হৃদয় জয় করা উপন্যাস আসে তার লেখনীতে। সৃষ্টি করেছেন হিমু, মিসির আলীর মতো জনপ্রিয় চরিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম কাজল। বাবা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। তিন ভাই দুই বোনের মাঝে তিনি সবার বড়।
১৯৭৩ সালে গুলতেকিন খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন এবং গুলতেকিন দম্পতির চার ছেলেমেয়ে। দীর্ঘ ৩২ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটিয়ে তিনি অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে করেন। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক’, বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।